ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনের সময় নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দলগুলো

* ৩০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক * নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কারণ নেই : বিএনপি * এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় জামায়াত * ‘জুলাই সনদের’ আগে নির্বাচন চায় না এনসিপি
নির্বাচনের সময় নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দলগুলো

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আলোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস; জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। গতকালের আলোচনায় ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হবে বিষয়ভিত্তিক। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে একদিন এবং ঈদের পরে দলগুলোর ধারাবাহিকভাবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা চলবে। বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের যেসব মৌলিক প্রস্তাবে এখনও ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো এ পর্বে বেশি গুরুত্ব পাবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের।

গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচারবিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়। সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্য অংশ নিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্য অংশ নিয়েছেন। পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি প্রস্তাব ছক আকারে দলগুলোর কাছে পাঠিয়ে মতামত নেয় কমিশন। এরপর গত ২০ মার্চ থেকে দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে প্রথম পর্বের আলোচনা শুরু হয়। প্রথম পর্বের আলোচনা শেষ হয় ১৯ মে। প্রথম পর্বে ৩৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। পরে ২৬ মে ঐকমত্য কমিশন সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম ধাপের আলোচনার অগ্রগতি তুলে ধরে। প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেগুলোতে ঐকমত্য হয়নি, এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব বা সুপারিশের কথা সেদিন সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

ক্ষমতার ভারসাম্যসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রশ্নে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলে ওই দিন জানিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণের কাঠামো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কতবার নির্বাচিত হতে পারবেন, একজন সংসদ সদস্য কতগুলো পদে থাকতে পারবেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া কী হবে, সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া কী হবে- এ ধরনের মৌলিক কাঠামোগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অমীমাংসিত থেকে গেছে। তবে এসব বিষয়ে অনেক দল আরও আলোচনার কথা বলেছে এবং আলোচনায় নমনীয়তা দেখিয়েছে বলে জানায় ঐকমত্য কমিশন।

নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটিও কারণ নেই -সালাহউদ্দিন : নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরিভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো, তা চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা যদি বাস্তবায়ন করি। তবে এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ছাড়া অন্যান্য যে সংস্কারগুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে বা অডিয়েন্সের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি।

‘আমরা আলোচনা মধ্যদিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি’ এমন মন্তব্য করে বলেন, আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যেটাই জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সবকিছু মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্যদিয়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরিভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা আমরা বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কারগুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে বা অডিয়েন্স এর মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।

বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐকমত্যে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমার একমতে আসতে পারবে, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদের স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ওনারা যথেষ্ট আন্তরিক। এরই মধ্যে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি, আর বেশি সময় নেবেন না। এ মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে জানান বিএনপির এ শীর্ষ নেতা।

ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় জামায়াত : চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর জামায়াতের প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানায় জামায়াতে ইসলাম। এ নিয়ে কোনও দলের নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নয় দলটি। ডা. তাহের বলেন, বৈঠকে কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি-জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার করতে হবে। তারপর জুলাই সনদে সই করবে সব দল। রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের প্রতি আস্থার কথা বলেছে। তার (মুহাম্মদ ইউনূস) নেতৃত্বেই জাতীয় নির্বাচন হবে।

ডা. তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা তাকে বলেছি, মে-জুন বর্ষা। এর মধ্যেই রোজা ও পরীক্ষা আছে। তাই নির্বাচনের ডেটলাইন ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে হলে বিতর্ক থাকবে না। প্রধান উপদেষ্টা যা-ই করতে চান, একটি রোডম্যাপ করে দিন, আমরা এটা চাই। তাহলে মানুষের মধ্যে আর শঙ্কা থাকবে না। তিনি বলেন, দেশের বাইরে ১ কোটি ১০ লাখ প্রবাসীকে ভোটাধিকারের বিষয়ে কমিশনের কোনও কর্মযজ্ঞ দৃশ্যমান নেই। আমরা এ বিষয়ে অগ্রগতির কথা বলেছি।

আমরা নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। প্রশাসনকে স্বচ্ছতায় নিয়ে আসতে হবে। ভোট উৎসবমুখর করতে হবে। নির্বাচনের আগেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা থাকবে না। প্রতিনিধিদলে ছিলেন জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ।

‘জুলাই সনদের’ আগে নির্বাচন চায় না এনসিপি : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগামী ৫ আগস্ট আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হবে। এটি আমরা উদযাপন করতে চাই। ৫ আগস্টের আগেই জুলাই মাসে যেন জুলাই সনদ রচিত হয়। জুলাই সনদের মাধ্যমে দেশের মানুষ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এবং শাসন কাঠামো দেখতে চান। জুলাই সনদ হওয়ার আগে যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা হয়। এতে সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নাহিদ বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে আমরা তাদের প্রতি এবং সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছি। ১৬ বছর অপেক্ষা করেছি, ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও দুই মাস যেন অপেক্ষা করি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সরকারকে সময় দেই। এ দুই মাসের মধ্যে আমরা জুলাই সনদ রচনা করে ফেলি।

তিনি বলেন, জুলাই সনদের পরই সরকার যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য ৩০ কার্যদিবস ছিল, সেটা অনেক কার্যদিবস হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা কোনো ধরনের পদক্ষেপ দেখছি না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন আইন সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা উচিত।

অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার নিয়ে মতবিরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। তবে দলীয় স্বার্থে সরকার যেন কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় সেজন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি। যদি দেশের স্বার্থ চিন্তা করি তাহলে আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারব।

নির্বাচন,ঐকমত্য কমিশন,অন্তর্বর্তী সরকার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত